সামরিক সংঘর্ষ ও 'অপারেশন সিন্ধুর'
৭ মে ২০২৫ তারিখে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী 'অপারেশন সিন্ধুর' নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটি। এই অভিযানে রাফাল যুদ্ধবিমান, ব্রাহ্মোস মিসাইল ও ইসরায়েলি তৈরি ড্রোন ব্যবহার করা হয়। ভারত দাবি করেছে, এই হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তইয়্যেবা জঙ্গি সংগঠনের অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রাফাল, মিগ-২৯ ও সু-৩০এমকেআই রয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি। এই সংঘর্ষকে সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ বিমানযুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
১০ মে তারিখে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতির পরপরই সীমান্ত অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যা যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে ১১ মে থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে, ভারতের সামরিক অভিযান কেবল "স্থগিত" করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই সংঘর্ষকে "ঐতিহাসিক বিজয়" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সংঘর্ষের সময় 'অপারেশন সিন্ধুর' অধীনে ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার মধ্যে চণ্ডীগড়, শ্রীনগর ও জম্মু অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে এই বিমানবন্দরগুলো পুনরায় চালু হয়েছে এবং বিমান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তির ফলে ভারতীয় রুপির মান ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভারতীয় শেয়ারবাজারে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে।
🤝 যুদ্ধবিরতি ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ
✈️ বেসামরিক বিমান চলাচল ও অর্থনৈতিক প্রভাব
0 Comments